কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে ঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান কামরুজ (৫৫) ও তার ভাই নান্নু শেখকে (৫০) শুক্রবার (১১.১০.১৯) গভীর রাতে মামলা রুজু হওয়ার আগেই গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের পর থানায় মামলা রুজু করে শনিবার দুপুরে তাদের ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বর্ণিচর গ্রামের মো. ফসিয়ার মোল্যা (৩৫) ও পাশ্ববর্তী মো. সৈয়দ শেখ (৭০) এর মধ্যে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গত ৮অক্টোবর বিরোধপূর্ণ সীমানা থেকে একটি সুপারি গাছ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে ওইদিন বিকেলে বোয়ালমারী থানা চত্বরে থানা উপপুলিশ পরির্শদক এম ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে উভয় গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয় ১৩ অক্টোবর উভয় পক্ষের আটজনের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করে উভয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সঠিকভাবে মাপঝোপ হলে ফসিয়ার মোল্যা দাবীকৃত জমি হারানোর সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে মামলার বাদী ফসিয়ার প্রতিপক্ষ সৈয়দ শেখের পক্ষের মাতুব্বর কামরুজ ও তার চার ভাইসহ ১১ জনের নামে শনিবার বোয়ালমারী থানায় কৌশলে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১। তাং ১২.১০.১৯ খ্রি.।
ময়না ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্ণিচর গ্রামের শেখ সেলিমুজ্জামান বলেন, কোন পক্ষই মারামারি করে নাই। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিল।
উপজেলা আ’লীগের সদস্য বর্ণিচর গ্রামের মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বিরোধপূর্ন সীমানা থেকে গাছ কাটায় দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তবে কামরুজ্জামান কামরুজ সে সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, বাদীর অভিযোগের ভীত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে ঘটনার সাথে তারা জড়িত।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩ অক্টোবর ২০১৯ ইং/মানিক